প্রবাস জীবনের এক বছর পর মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ (৪২) এসেছেন নিজ বাড়িতে। তবে জীবিত নন, কফিনে মোড়ানো লাশ হয়ে। হাসির বদলে পাহাড় পরিমাণ শোকে কাতরাচ্ছেন তাঁর পরিবার। পরিবারের সুখের জন্য সৌদিআরব পাড়ি জমিয়েছিলেন দরিদ্র পরিবারের ছোট ছেলে শহিদ। সেই সুখ ভাগ্যে জোটেনি তাঁর। মা, স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে শেষ দেখাটাও করে যেতে পারেননি। মৃত্যুর ২৫দিন পর বাড়ি ফিরেছে কপিনে মোড়ানো তাঁর মরদেহ।
প্রবাসী শহিদুল ইসলাম রামগড় উপজেলার দক্ষিণ সদুকার্বারীপাড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের ছোট ছেলে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ গ্রহণ করেন স্বজনেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলিটিলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পরিবারে ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট শহিদ। পরিবারে সবাই আলাদা। মা, স্ত্রী সন্তানসহ ৬ সদস্যের পরিবার চলতো প্রবাসী শহিদুলের উপার্যনেই। বিয়ের পর পরিবারের কষ্ট দূর করতে কয়েক বছর ওমানে কাটিয়ে বাড়ি এসে এক বছর আগে পাড়ি জমান সৌদিআরবে। সেখানে একটি কোম্পানিতে শ্রমিক পদে চাকরি পান। দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক তিনি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সৌদিআরবের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের দিন সন্ধ্যায় ডায়াবেটিস ও পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালাতে ভর্তি হন শহিদ।
এদিকে মৃত্যুর ২৫দিন পর শহিদুলের মরদেহ বাড়িতে এলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কফিন গিরে মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মূর্ছা যাচ্ছেন শহিদুলের মা, স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনেরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
