ঘর ভরা দর্শক। আমেরিকার গভর্নরদের কার্যনির্বাহী অধিবেশন চলছে। ট্রাম্প উঠে দাড়ালেন। গলার স্বর শক্তিশালী। চোখে সেই চিরচেনা আত্মবিশ্বাস। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো হলরুম স্তব্ধ হয়ে গেল । কারণ তিনি যা বললেন তা শুধুই আমেরিকার নীতি নয় ভারতের রাজনীতির জন্যও বড়সড় ঝড় তুলতে পারে।
আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশে ১৮২ কোটি টাকা গিয়েছে ভোটারদের বুথমুখি করতে। কিন্তু আমাদের ভোটারদের কী হবে? এ যেন শুধু একটা অভিযোগ নয় বরং আমেকিার পররাষ্ট্র নীতিতে সরাসরি এক বিস্ফোরণ।
ট্রাম্পের দাবি জো বাইডেন প্রশাসন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে ভারতের নির্বাচনে ২ কোটি ১০ লাখ অনুদান দিয়েছে। তার ভাষায় এটা ঘুষের প্রকল্প।
শুধু ভারত নয় বাংলাদেশও বাদ যায়নি এই অভিযোগ থেকে। ট্রাম্প এর দাবি বাংলাদেশেও একটি সংস্থাকে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে যার নাম কউ শোনেনি। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন আমেরিকা কেন অন্য দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে? কেন আমেরিকান টেক্স পেয়ারের টাকা অন্য দেশের ভোট বাড়ানোর জন্য ব্যয় হবে? এখানে ঘটনাপ্রবাহ নাটকীয়ভাবে বদলায়। যখন ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিওইজি ঘোষণা করে ভারতসহ একাধিক দেশে ইউএসএইড এন অনুদান বাতিল করা হচ্ছে।
এই ঘোষণার পর থেকেই সদ্য সাবেক বাইডেন প্রশাসনের উপর ট্রাম্পের আক্রমণ আরো তীব্র হয়েছে। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন কারো জয় নিশ্চিত করার জন্যই অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post