ওমানের রাজধানী মাস্কাটে গত কয়েকবছর ধরে পর্যায়ক্রমে কমছে জনসংখ্যার ঘনত্ব। দেশটির আবাসন ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয় আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ওমানের সকল বড় শহরের জন্য একটি মেগা পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এই পরিকল্পনায় উঠে আসছে এমন তথ্য।
দেশটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্ট্যাটিস্টিক অ্যান্ড ইনফরমেশন (এনসিএসআই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মাস্কাটে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২০১৮ সালে ছিলো প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৬৩.৩ জন। যা ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫৫.৪ জন এবং ২০২০ সালে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ৩২৬.৫ জনে। সামগ্রিকভাবে, মাস্কাটে ২০১৮ সালে মোট জনসংখ্যা ছিলো ১৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৮ জন যা দুই বছরের ব্যবধানে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৫৫ জনে।
আরো পড়ুনঃ
যে শর্তে এনওসি সুবিধা পাবেন ওমান প্রবাসীরা
করোনা রোগীকে স্পর্শ করলেই করোনা হয় না
যেভাবে সরকারি অনুদান পাবেন প্রবাসীরা
বিদেশে মারা গেলে ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন যেভাবে
ওমান ও বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত করোনা ভ্যাকসিনের তালিকা
মাস্কাটের আল সীবে বসবাস করে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯ জন, আমরাতে ৯০ হাজার ২২০ জন, বৌশারে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০, মাতরাতে ১ লাখ ৯২ হাজার ৪২৭ জন। তবে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটিতে মোট জন সংখ্যা ৭ থেকে ৭.৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে মনে করছে ওমান সরকার।
এদিকে মাস্কাটে জনসংখ্যা কমলেও দেশটির উত্তর আল বাতিনার সুর প্রদেশে বেড়েছে জনসংখ্যা। সূর অঞ্চলে ২০১৮ সালে ছিলো ৯৬.৩ শতাংশ যা দুই বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৩ শতাংশ প্রতি বর্গ কিলোমিটারে। এছাড়াও দক্ষিণ আল বাতিনার বারকা অঞ্চলেও বেড়েছে জনসংখ্যা। ২০১৮ সালে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৮০ জন বসবাস করলেও বর্তমানে বসবাস করছে ৮৭.৬ জন। ওমানে ৩২ শতাংশ বেড়েছে দক্ষ শ্রমিক। দেশটির বেসরকারি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ৮৩ শতাংশ। যা বার্ষিক জিডিপি ৫ শতাংশ এবং জিডিপিতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) ১০ শতাংশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post