দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ এবং নির্বাচনী জোট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত বর্তমানে ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের সঙ্গে রাখার কৌশল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। অতীতে রাজপথের মিত্র থাকলেও বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াত একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলেও ইসলামী আন্দোলনকে নিজেদের পক্ষে নিতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পরিসরে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে, যা নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২১ জানুয়ারি চরমোনাইয়ে জামায়াতের আমিরের সফরের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন সমীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায়, ২৭ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে দশটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ঐক্যমতের কথা উঠে আসে, যা ইঙ্গিত দেয় যে আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের শাসনক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের এক বক্তব্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় বিএনপি ও জামায়াত নিজেদের শক্তি বাড়াতে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে তারা ইসলামপন্থী বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। পাশাপাশি, নতুন ছাত্র আন্দোলন যদি রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়, তবে একই ভোটব্যাংক দখলের প্রতিযোগিতা তীব্র হবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর অবস্থান এবং তাদের প্রভাব দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যকার সম্পর্ক এবং আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ ভবিষ্যতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post