ড. মো. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও কূটনৈতিক সাফল্যের ফলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বৈদেশিক সম্পর্কে গতি এসেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের প্রস্তাব দিয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাতেও ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রায় ১২টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ইতোমধ্যে ফ্লাইট শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, যা দেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এয়ার এশিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া, এমিরেটস, ইন্ডিগো, মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস, ওমান এয়ার, সৌদি এয়ারলাইনস ও কাতার এয়ারওয়েজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য। বিশ্বের ১৭২টি দেশে প্রায় এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী ও শ্রমিক কাজ করছেন, যারা এই এয়ারলাইনসের মাধ্যমে দেশের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
তবে, দেশের নিজস্ব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের সীমিত সক্ষমতার কারণে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোই প্রবাসীদের আনা-নেয়ার দায়িত্ব পালন করছে। এ পরিস্থিতিতে দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোর উন্নয়ন ও বিমান খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ছে।
বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির আগ্রহ দেখাচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান। এতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post