জীবিকার তাগিদে মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি কাজ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই শেষ ঠিকানা হয় এই বিদেশ বিভুঁই। প্রবাসে মৃত্যুবরণকারীদের মরদেহ দেশে ফেরাতে প্রায়শই মোটা অঙ্কের অর্থ গুনতে হয় স্বজনদের।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়েন পরিবার ও সহকর্মীরা। অনেকেরই আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় মরদেহ পড়ে থাকে মর্গে, এমনকি দাফন করতে হয় বিদেশে। তবে এখন থেকে মালদ্বীপ প্রবাসীদের জন্য এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এখন থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বিনা খরচে মালদ্বীপ প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করবে। মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি কর্মীর মৃত্যু হলে তার মরদেহ দেশে পাঠাতে খরচ বহন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
তবে ফ্রি ভিসা বা অবৈধ কর্মীর মৃত্যু হলে তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এয়ারলাইন্সগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়, সময়সূচির কালক্ষেপণ, বাড়তি খরচ আর মর্গ ভাড়া যোগ হয়ে তৈরি হয় অসহনীয় পরিস্থিতি।
মালদ্বীপে প্রায় এক লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। তাদের জন্য ইউএস-বাংলার এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বড় ধরনের সহায়ক হবে।
প্রবাসীরা আশা করছেন, ইউএস-বাংলার পাশাপাশি বাংলাদেশ বিমানও যদি এই সেবা চালু করে, তাহলে তাদের ভোগান্তি আরও কমবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মালদ্বীপের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম জানান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সব দেশ থেকেই প্রবাসীদের মরদেহ বিনামূল্যে বহন করে থাকে। মালদ্বীপ থেকেও এর ব্যতিক্রম হবে না। সকল বাংলাদেশির মরদেহ তারা বহন করবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধানে ইউএস-বাংলার এই উদ্যোগ তাদের গ্রাহক সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
