বিএনপি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ইসলামী শরিয়াহ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলাম বিরোধী কোনো বক্তব্য দেওয়া হবে না।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৈঠকে উভয় দলের নেতৃবৃন্দ ১০টি বিষয়ে একমত হন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা দিচ্ছে। ঐকমত্যে পৌঁছানো বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও টাকা পাচারকারীদের বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান।
ভোটাধিকারসহ সব ধরনের মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের পুনর্গঠন।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি না করা এবং একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ না করা।
ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে লক্ষ্যে রাজনৈতিক ঐক্য বজায় রাখা।
ইসলামী শরিয়াহ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলাম বিরোধী কোনো কথা না বলা।
প্রশাসনে বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহায়ক কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু। অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এছাড়াও, দুই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, গাজী আতাউর রহমান এবং আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দল একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সংকেত দিয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
