আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বর্তমান অবস্থান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন। তিনি কোথায় আছেন, কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন—এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজছে অনেকেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, কানাডার বেগমপাড়ায় তার একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে তার নামের ফ্ল্যাট থাকার কথাও শোনা যায়। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার নিউটাউনের এক ফ্ল্যাটে তিনি অবস্থান করছেন, যা ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের মালিকানাধীন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে শিগগিরই সিঙ্গাপুর হয়ে কানাডায় পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রী গা ঢাকা দিয়েছেন। দলটির একাধিক নেতা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, কলকাতার নিউটাউন, পার্কসার্কাস, এবং গুলশান কলোনি এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাদের গোপন আস্তানা গড়ে উঠেছে।
শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানসহ আরও অনেকেই বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন। এ ছাড়া কেউ কেউ ভারত হয়ে সিঙ্গাপুর, দুবাই কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, এ নেতারা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন। তাদের পরিকল্পনা দেশের ভেতরে নাশকতা সৃষ্টি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করা।
নিউটাউন থানার নিয়মিত অভিযানের মধ্যেও এই নেতারা অবাধে চলাফেরা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত, নিউটাউনের কিছু অভিজাত এলাকায় তাদের উপস্থিতি প্রশাসনের নাকের ডগায় হওয়া সত্ত্বেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই গোপন আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এখন কলকাতার প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া নেতাদের কার্যক্রম ও অবস্থান নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন সময়ই বলে দেবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post