নিরাপদ দাম্পত্য জীবনের প্রয়োজনে বিবাহপূর্ব মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে আইন করতে যাচ্ছে ওমান সরকার। ২০২৬ সাল থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক হচ্ছে।
আইন করার আগে সিকেল সেল অ্যানিমিয়া এবং বেটা-থ্যালাসেমিয়া সহ বংশগত রক্তরোগের বৃদ্ধি মোকাবেলায় ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী মাসে বিয়েপূর্ব চিকিৎসা পরীক্ষা প্রচারের জন্য বছরব্যাপী জাতীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করবে।
এই উদ্যোগটি মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার অংশ। যদিও ১৯৯৯ সাল থেকেই বিয়েপূর্ব স্ক্রীনিং প্রোগ্রাম ওমানের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই প্রোগ্রামে মানুষের আগ্রহ বেশ কম।
অথচ পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রায় ৭% শিশু বংশগত রক্তসম্পর্কিত রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ওমানে এই হার ৯-১০ শতাংশ। এজন্য ওমানে রক্তসম্পর্কিত বিবাহ প্রচলনের বিষয়টিকে কারণ বলে মনে করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ওমানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, এই প্রোগ্রামটি বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে, তবে খুব কম সংখ্যক মানুষই এতে অংশ নিচ্ছেন। অথচ বিশ্বের গড়ের চেয়ে ওমানে বংশগত রোগের উচ্চ প্রাদুর্ভাব রয়েছে। তিনি জানান, বছরব্যাপী এবারের প্রচারণার লক্ষ্য হল বিয়েপূর্ব চিকিৎসা পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
অন্যান্য দেশের মত ওমানেও বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন, এ রকম স্বামী-স্ত্রীর সংখ্যা হাতেগোনা। এ সম্পর্কে প্রচলিত মেডিকেল প্রোগ্রাম নিয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে জানেন, তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে তাদের অনেকের মধ্যেই কিছুটা লজ্জা ও ভয় কাজ করে, তাই জেনেও এড়িয়ে যান। তবে এবার আইন করে বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করানোর উদ্যোগ নিচ্ছে ওমান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post