যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক প্রেসিডেনশিয়াল পদক ‘প্রেসিডেনশিয়াল আর্লি ক্যারিয়ার অ্যাওয়ার্ড ফর সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স‘ অর্জন করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক এহসান হক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছর এই পদকপ্রাপ্ত ৪০০ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর নাম ঘোষণা করেছে।
এহসান হক দ্বিতীয় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী, যিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পদক পেলেন। এর আগে বাংলাদেশি কম্পিউটার বিজ্ঞানী সামন্দ সালাহউদ্দিন এই পুরস্কারটি অর্জন করেছিলেন।
১৯৯৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অসাধারণ সম্ভাবনাময় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের সম্মান জানাতে এই প্রেসিডেনশিয়াল পদক চালু করেন। হোয়াইট হাউসের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই পুরস্কারের লক্ষ্য হলো উদ্ভাবনী এবং সুদূরপ্রসারী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বীকৃতি প্রদান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ক্যারিয়ার সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরা।
এহসান হক জানান, তিনি ‘এআই‘ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন। বিশেষ করে, স্নায়ুরোগ, ক্যানসার, অটিজম ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছেন।
বর্তমানে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এহসান হক। এর আগে তিনি সৌদি আরবের জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান গবেষক ছিলেন।
এহসান হকের জন্ম ১৯৮১ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকা শহরের উদয়ন স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। পেন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ইউনিভার্সিটি অব মেমফিস থেকে মাস্টার্স ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (MIT) এর মিডিয়া ল্যাব থেকে পিএইচডি গবেষণা শেষ করেন। তার উদ্ভাবিত ম্যাক ও লিসা নামক দুটি কম্পিউটার সিস্টেম মানুষের মুখভঙ্গি দেখে তাদের কথা বুঝতে সক্ষম।
২০১৬ সালে, এমআইটি টেক রিভিউ তাকে ৩৫ বছরের কম বয়সী বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত করে। ২০১৭ সালে সায়েন্স নিউজ তাকে ‘টেন সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ‘ হিসেবে উল্লেখ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post