নতুন করে আলোচনায় এসেছে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল। সম্প্রতি সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া ও ফ্লাডলাইট স্থাপন নিয়ে প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে যায় বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেই উত্তেজনা ছড়ায় উভয় দেশের সীমান্তবাসীর মধ্যে।
এবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারে খালি কাচের বোতল ও মদের বোতল ঝুলিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।
এ নিয়ে সীমান্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি সকাল থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের সরকারপাড়া সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের সাব-পিলার ৩৭ থেকে ৪৬ নম্বরের শূন্যরেখার শেষে অংশে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে বিএসএফ ভারতীয় নির্মাণশ্রমিকদের নিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি খুঁটির মধ্যে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য শূন্যরেখায় নির্মিত কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসেন। এ সময় তারা ডিএমপি ৮ নম্বরের সাব-পিলার ৩৮ থেকে ৪৬ নম্বরের শূন্যরেখায় নির্মিত বেড়ার প্রায় এক কিলোমিটার অংশের তারগুলোতে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি মাপের কাচের খালি বোতল জিআই তার দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দিতে থাকেন।
স্থানীয়রা দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। এক পর্যায়ে তারা কাজ শেষ করে চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ হোসেন জানান, ভারত কয়েক দিন আগে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ায় চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। এর ওপর কেন বোতল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা নিয়ে তারা আতঙ্কিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ঝোলানো বোতলগুলো সম্ভবত খালি মদের বোতল। দূর থেকে এতে আলো ফেললে হয়তো চকচক করে জ্বলবে সে কারণে তদারকির জন্য এগুলো ঝোলানো হতে পারে।
রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম আলদীন জানান, সম্প্রতি লাগানো চার ফুট উচ্চ তার কাঁটাতার বেড়া নিয়ে সম্ভবত টেনশনে আছে বিএসএফ। ফলে তারা হয়তো বেড়ার ‘প্রটেকশনের’ কৌশল হিসেবে মদের বোতল ঝুলিয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post