বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বাজারে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো। এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওমানি রিয়াল, যা ২.৬ মার্কিন ডলারের সমান।
১৯৭০-এর দশকে প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে ওমানের এই মুদ্রা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং লেনদেনে তার শক্তিশালী অবস্থান বজায় রেখেছে।
ওমান মূলত তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ। তাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো এই দুইটি প্রাকৃতিক সম্পদ। ওমানি রিয়ালের এই স্থিতিশীলতার পেছনেও এই দুইটি পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তবে, অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় ওমানি রিয়ালের মান সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে ওমানি রিয়ালের বিনিময় হার মার্চ ২০২৪ এ ছিল ২৮৩ টাকা, যা বর্তমানে (অক্টোবর ২০২৪) ৩১৬.৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে ৩৩ টাকার এই পরিবর্তন দেখায় যে ওমানি রিয়ালের মান কতটা বেড়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান মুদ্রা হলো কুয়েতি দিনার, যার বিনিময় হার ৩.২৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে এর বর্তমান মূল্য ৪০০ টাকা ১৬ পয়সা। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাহরাইনি দিনার, যার বিনিময় হার ২.৬৫ মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশি মূল্য ৩২২.৫৫ টাকা।
এই তিনটি দেশই—কুয়েত, বাহরাইন এবং ওমান—বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে, যার প্রধান কারণ তাদের তেল ও গ্যাস সম্পদ।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশের মুদ্রার মান কমলেও, মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোর মুদ্রা তাদের স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের শক্তিশালী প্রভাবের প্রমাণ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post