ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট রাজনীতিক শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি একটি বক্তব্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
এক সভায় দেওয়া বক্তব্যে শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের মতো সামরিক শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ট্যাংক বা সামরিক সরঞ্জামের কোনো কার্যকারিতা নেই। ” ভারত এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তি। আমাদের সেনাবাহিনী বা বিএসএফ পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কয়েকটি ড্রোনই যথেষ্ট। তারা এখনো জানে না ভারতের ক্ষমতা কোথায়,” তিনি বলেন।
অধিকারীর বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে উল্লেখ করেন এবং তাদের উদ্দেশে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি আরও দাবি করেন যে বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্ম এখনো ৬০-৭০ এর দশকের মানসিকতায় আটকে আছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে মৌলবাদবিরোধী অবস্থান জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও মৌলবাদী শক্তি নির্মূল করতে রাষ্ট্রবাদী সরকারের প্রয়োজন।”
তিনি এ-ও উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের কেউ কেউ দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল এবং ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রচেষ্টায় তাদের বিচার সম্ভব হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য দুই বাংলাতেই ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল থেকে এই বক্তব্যকে উসকানিমূলক ও অপ্রীতিকর বলে অভিহিত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠী তার এ ধরনের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এ ধরনের বক্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে উত্তপ্ত করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মহল থেকে শান্তি ও সংহতি রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post