ভারত বাংলাদেশের পোশাক বাজারে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে—সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং এর ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে আন্তর্জাতিক পোশাক আমদানিকারকরা বিকল্প সরবরাহকারীর সন্ধান করছে, যা ভারতের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
ভারতীয় সরকার ইতোমধ্যে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস খাতে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শুল্ক ছাড়, কর প্রণোদনা, এবং স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটির পোশাক শিল্পকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের পোশাক রপ্তানি প্রচার কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মিথিলেশ্বর ঠাকুর রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারের অনেক কোম্পানি বিকল্প সরবরাহকারীর দিকে ঝুঁকছে। তবে ভারত এখনো সম্পূর্ণভাবে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের পোশাক শিল্পে বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ কাজ করছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশটির টেক্সটাইল মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি শুল্ক প্রত্যাহার এবং কর প্রণোদনা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ০.৪ শতাংশ কমেছে।
বিপরীতে, একই সময়ে ভারতের রপ্তানি ৪.২৫ শতাংশ বেড়েছে। এই প্রবণতা আমেরিকান ক্রেতাদের ভারত এবং ভিয়েতনামের দিকে আকৃষ্ট করছে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় পোশাক শিল্পের এমন অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য এটি একটি সতর্ক সংকেত হতে পারে, যা তাদের শিল্পের স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান ধরে রাখতে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।
এতে বোঝা যাচ্ছে, পোশাক শিল্পে ভারতের আগ্রাসী উদ্যোগ ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে আরও তীব্র প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post