সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি বৃহৎ অভিযানে ১৯ হাজার ৪১৮ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আবাসিক, নিরাপত্তা এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিবরণ:
আবাসিক আইন লঙ্ঘন: ১১ হাজার ৭৮৭ জন।
নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন: ৪ হাজার ৩৮০ জন।
শ্রম আইন লঙ্ঘন: ৩ হাজার ২৫১ জন।
অন্যদিকে, সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ১ হাজার ২২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৬ শতাংশ ইথিওপীয়, এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক।
এছাড়া, সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালানোর চেষ্টা করার সময় আরও ১৩৬ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানের পর ১০ হাজার ৩১৯ জন প্রবাসীকে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছে, নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, অবৈধ প্রবাসীদের আশ্রয়, পরিবহন বা নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে প্রায় ৩৩ হাজার ৫৭৬ জন প্রবাসী সৌদি আরবের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৩০ হাজার ২৬১ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩১৫ জন নারী।
সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করেছে, অবৈধ প্রবাসীদের আশ্রয়, পরিবহন বা তাদের কাজে নিয়োগ প্রদান করলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে।
সৌদি সরকার দেশটির আইন মেনে চলার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং সকল নাগরিককে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে সৌদি আরব তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post