সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, সরকার পরিবর্তনের পর এ দুটি মামলার তদন্ত পুনরায় করা হয়েছে এবং এতে নতুন আসামিদের যুক্ত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে নজিরবিহীন।
শিশির মনির জানান, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় প্রথম পর্যায়ে তদন্ত সম্পন্ন হয় এবং ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই সরকার পরিবর্তন হয়। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে পুনরায় মামলার তদন্তের আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের অনুমতি দেয়। নতুন তদন্তে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম এবং তৎকালীন এনএসআই ও ডিজিএফআই প্রধানদের আসামি করা হয়।
শিশির মনির আরও উল্লেখ করেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর নতুন করে তদন্তের আবেদন করা হয়। নতুন তদন্তে তারেক রহমান, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তো বটেই, সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসেও এমন কোনো নজির নেই, যেখানে একজন ব্যক্তি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর সরকার পরিবর্তনের ফলে নতুন স্বীকারোক্তি নিয়ে নতুন আসামিদের যুক্ত করা হয়েছে।”
আইনজীবী শিশির মনির আদালতে দাবি করেন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ৪০০ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি। তিনি বলেন, “কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে এমন ঘটনা আগে ঘটেছে, আমি তা মেনে নেব। কিন্তু এ ধরনের উদাহরণ দেখানো সম্ভব হয়নি। এটি শুধু বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় হয়েছে।”
শিশির মনিরের বক্তব্যে বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া ও এর নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিচার ব্যবস্থার এমন কার্যক্রমকে নজিরবিহীন এবং অপ্রত্যাশিত বলে আখ্যা দেন।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post