জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী সম্প্রতি যশোরে এক মাহফিলে দেওয়া বক্তব্য ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিলেট এমসি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে তিনি বলেন, “আমার বক্তব্য ছিল সম্পূর্ণ সাধারণ। এতে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবুও কিছু রাজনীতিবিদ বন্ধুরা এটি নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।”
আজহারী বলেন, দেশে ৪৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। কোনো দলের নাম উল্লেখ না থাকা সত্ত্বেও যারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাদের আচরণকে তিনি অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলি না; আমরা ইসলামের পক্ষে কথা বলি। বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিতর্কিত করা উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই না দেশে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দুর্নীতি কিংবা টেন্ডারবাজি চলতে থাকুক। ক্ষমতার পরিবর্তনের সময় প্রতিটি সরকারই দুর্নীতির ফিরিস্তি প্রকাশ করে।
দুর্নীতি আমাদের রাজনীতির শেকড় গেড়ে বসেছে, যা পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, ভবিষ্যতে তারা আর দুর্নীতিতে লিপ্ত হবে না।”
ড. আজহারী সতর্ক করেন, “যদি রাজনীতিবিদরা সাধারণ কথাকে নিজেদের গায়ে মাখেন, তবে তা জনগণের মধ্যে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেবে। এটি আমরা চাই না। আমাদের উচিত নতুন ভোরের বাংলাদেশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করা।”
উল্লেখ্য, যশোরের এক মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, “এক দল খেয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।” এ বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
তবে আজহারী তার বক্তব্যকে অযথা বিতর্কিত বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এটি তার নিরপেক্ষ অবস্থানের প্রমাণ বলে দাবি করেন।
ড. আজহারীর বক্তব্যে তিনি রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সমাজের দুর্নীতি ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন। দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতিতে শুদ্ধতার আহ্বানই ছিল তার মূল বার্তা।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post