২০১৫ সালে ফ্যামিলি ভিসায় ওমানে আসেন শাওয়াল শারমিন। বিদেশের মাটিতে বুদ্ধি খাটিয়ে যেসকল বাংলাদেশি সফল হয়েছেন এই প্রবাসী নারী উদ্যোক্তা তাদেরই একজন।
ব্যবসার শুরুটা প্রসাধনী আইটেম দিয়ে। High Line Beauty ‘র মত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি মুনাফা করেছেন। তবে এবার আরেকটু ভিন্ন পরিকল্পনা থেকে শুরু করেছেন শারো (shwaro) নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। কেবল মুনাফা নয়, সাথে দেশের চিন্তাটাও মাথায় রেখেছেন এবার।
ওমানে থাকা বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, ভারতীয় এবং অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের মত স্থানীয় ওমানিরাও শারোর ক্রেতা। বাংলাদেশি পণ্যে ভিনদেশিরা কি শতভাগ আকৃষ্ট হচ্ছেন? উত্তর দিয়েছেন শারমিন নিজেই।
যেসব ক্রেতা আল আমরাতের দোকানে আসতে পারবেন না তাদের জন্যও বিকল্প সুবিধা রেখেছে শারো। অনলাইনে অর্ডার করলেই দ্রুত সময়ে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে কাঙ্খিত পণ্য।
শারমিনের জন্ম মাদারীপুর জেলায়। ওমানে তার স্বামী একটি প্রাইভেট হাঁসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন সাংসারিক কাজের ফাকেই। এখন সেই শারমিন কেবল বাংলাদেশের গর্ব নয়, বনে গেছেন ওমানি নারীদের অনুকরণীয় আইডল।
দেশের রেমিট্যান্সের চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রেখে চলেছেন শারমিনের মত এমন উদ্যোক্তারা। সরকারি কিংবা বেসরকারি অনুগ্রহে নয়, শতভাগ নিজের প্রতিভা এবং যোগ্যতা দিয়েও যে বিদেশে সফল হওয়া যায় তার বড় উদাহরণ এই শাওয়াল শারমিন। তার এই পথচলায় অন্য প্রবাসীরাও অনুপ্রাণিত হবেন, সফল হবেন এবং সর্বোপরি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন- এমনটিই প্রত্যাশা এই প্রবাসী নারীর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post