বিশ্ব আবারও মুখোমুখি হতে পারে লকডাউনের, এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে সম্প্রতি চীনের রহস্যময় নতুন ভাইরাস নিয়ে। ২০১৯ সালের শেষদিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এর অভিজ্ঞতা বিশ্ববাসীর মনে এখনো টাটকা। সেই ভয়াল মহামারির পর, নতুন এক শ্বাসতন্ত্রের রোগকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাপ ছড়াচ্ছে “লকডাউন” শব্দটি।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, চীনে উদ্ভূত এই নতুন রোগের কারণ হতে পারে রাইনোভাইরাস এবং হিউম্যান-মেটা-নিউমো ভাইরাস (HMP)। এটি শ্বাসতন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে। জাপানেও এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই সাধারণ একটি ভাইরাস, যা সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, এবং ঠান্ডার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে।
HMP নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে শনাক্ত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোভিড-১৯ এর মতো ভয়াবহ মহামারির আকার ধারণ করবে না।
চীনে রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে লকডাউনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। যদিও বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে এখনও এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোভিড-১৯ এর পরবর্তী ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশেও লকডাউনের অভিজ্ঞতা ছিল গভীর। ২০১৯-২০ সালে লকডাউনের ফলে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল এবং লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, HMP ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং সচেতন থাকা উচিত। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই একটি সংক্রমণ, যা সঠিক চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
এই নতুন ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর যাচাই করে তথ্য গ্রহণ করার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে বিশ্ব আবার লকডাউনের দিকে যাবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলাতে পারে, তাই সকলেরই সতর্ক থাকা জরুরি।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post