পাখির আনাগোনা, কুয়াশা, এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যার কারণে আকাশপথে নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। সম্প্রতি এক কর্মশালায় তিনি সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কার্যকর সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশ্বে বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে নিরাপদ ফ্লাইট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্মশালাটির আয়োজন করে। এতে দেশের সব বিমান সংস্থা তাদের উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে।
বিমান সংস্থাগুলোর মতে, কুয়াশার কারণে অবতরণে পাইলটরা প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হন। অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে ঢাকার আকাশে কালো চিলের অস্বাভাবিক উপস্থিতি আরও একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডেপুটি চিফ অফ ফ্লাইট সেফটি ইন্তেখাব হোসেন বলেন, “আমরা যেসব এলাকায় ফ্লাই করি, সেগুলোর বাইরের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। অন্যথায়, একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তা ভয়াবহ হবে।”
গত ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন যাত্রী প্রাণ হারান। তদন্তে দেখা যায়, পাখির সংঘর্ষই ছিল এর মূল কারণ। এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশের আকাশপথ ব্যবস্থাপনায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের মতে, নিরাপদ বিমান চলাচলের জন্য পাখি নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কম আলোতে কুয়াশার মধ্যে অবতরণ নিশ্চিত করতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।
এ ধরনের কর্মশালা আকাশপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post