দীর্ঘদিন ধরে, সংঘবদ্ধ পাচার চক্র বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রের সদস্যরা, মূলত আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের তরুণীদের, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করে এবং পরে তাদের ভারতে পাচার করে দেয়। সম্প্রতি, একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে পাচারের একটি নতুন ও চাঞ্চল্যকর কৌশল উন্মোচিত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাচারকারীরা এখন নারী পাচারের বিনিময়ে ভারত থেকে গবাদি পশু, বিশেষ করে গরু নিয়ে আসছে। এই কৌশলটি পাচারের প্রক্রিয়াকে আরও লাভজনক করে তুলেছে।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে রাজধানীর মগবাজার এলাকার দুই বান্ধবী মরিয়ম (ছদ্মনাম) ও মুক্তার (ছদ্মনাম) এর ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুই তরুণীর আর্থিক দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পাচারকারীরা তাদেরকে ভারতে পাচার করে এবং বিনিময়ে গরু নিয়ে আসে।
এই ঘটনাটি কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর সমস্যার অংশ। এটি মানব পাচারের ভয়াবহতাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে এবং পাচারকারীদের নতুন কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেয়।
এই ধরনের অপরাধের মূল উৎপাটন করতে হলে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post