নিউইয়র্কের একটি ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে মলত্যাগ করছেন—এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ২১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি উলঙ্গ অবস্থায় মলত্যাগ করছেন এবং একইসঙ্গে মোবাইলে কিছু দেখায় ব্যস্ত। আশপাশে থাকা সাধারণ পথচারীরা যার যার মতো হেঁটে যাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার অবাক হয়ে তার দিকে তাকাচ্ছেন।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক এবং ঘটনাস্থল নিউইয়র্কের জনবহুল একটি মেট্রো স্টেশন। যদিও তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
নেটিজেনদের অনেকেই এ ঘটনাকে সভ্যতার বিরুদ্ধে অবমাননাকর ও নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
একজন মন্তব্য করেন, “কোনো সভ্য দেশের নাগরিক এভাবে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করতে পারে না। এটি ভারতের মতো দেশের সংস্কৃতির প্রকৃত প্রতিচ্ছবি।” অন্য একজন লিখেছেন, “যে জাতি গরুর গোবর ও প্রস্রাবকে পবিত্র মনে করে, তাদের থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত নয়।”
নেটিজেনরা ভারতকে “অসভ্য ও বেয়াদব” জাতি হিসেবে আখ্যায়িত করে আরও বলেন, “ভারত অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলাতে যতটা উৎসাহী, নিজেরা সভ্য হওয়ার দিকে ততটা মনোযোগ দেয় না। ভারতের নাগরিকদের এসব আচরণ বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
কিছু নেটিজেন ভারতের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, “ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু নিজেদের আচরণ ঠিক করার কোনো চেষ্টাই করে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে, তারা সভ্যতার মাপকাঠিতে কোথায় অবস্থান করছে।”
এই ভিডিওটি আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দার ঝড় তুলেছে। অনেকেই এ ঘটনাকে আধুনিক নগর জীবনের শৃঙ্খলা ও সম্মানের পরিপন্থী বলে আখ্যা দিয়েছেন। ভারতীয় নাগরিকদের বৈশ্বিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এই ঘটনায় নিউইয়র্ক প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। তবে ভিডিওটি ইতিমধ্যে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের জন্য লজ্জাজনক আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post