চাঁদপুরের মতলব উত্তরে প্রাক্তন প্রেমিকের ছোড়া অ্যাসিডে দগ্ধ হয়ে ১০ মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে জীবন হারালেন প্রবাসীর গৃহবধূ মিলি আক্তার। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তিনি সাত মাস বয়সী এক সন্তান রেখে গেছেন।
মিলি আক্তার, পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে, মমরুজকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলাম মানিকের সঙ্গে একসময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। পরে তার অন্যত্র বিয়ে হলে মানিক সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের পর মিলি তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন, কারণ তার স্বামী তখন প্রবাসে ছিলেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে সফিকুল ইসলাম মানিক ও তার সহযোগী মমরুজকান্দি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে জাহিদ মিলে মিলির ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এই হামলায় মিলির মুখ, বুক, পিঠ এবং হাত মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা তার মা রাশেদা বেগমও আঘাতপ্রাপ্ত হন।
গুরুতর অবস্থায় মিলিকে প্রথমে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হলো।
এ ঘটনায় মিলির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ আসামি সফিকুল ইসলাম মানিক এবং তার সহযোগী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে।
মিলির বাবা আইয়ুব আলী বলেন, “যারা আমার মেয়েকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে মেরে ফেলেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জানান, “মূল পরিকল্পনাকারী সফিকুল ইসলাম মানিক এবং সহযোগী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post