রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “কিয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না আরব ভূখণ্ড তৃণভূমিতে পরিণত হয় এবং সেখানে নদী প্রবাহিত হয়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে সাম্প্রতিক জলবায়ুর পরিবর্তনের মিল পাওয়া যাচ্ছে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল্লাহ আল মিসনাদ জানিয়েছেন, চারটি কারণে আরব উপদ্বীপের শুষ্ক মরুভূমি সবুজে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
১. জলবায়ুর পরিবর্তন:
তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার ধরনে যে পরিবর্তন হচ্ছে, তা আরব অঞ্চলের শুষ্কতা কমিয়ে তুলনামূলক আর্দ্র পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর থেকে আসা আর্দ্র বাতাস বৃষ্টিপাত বাড়াবে। তিনি বলেন, “গত দুই বছরে সৌদি আরবে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।”
২. আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ:
সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ২,০০০ আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে আল-ওয়াবাহর মতো একটি আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ বৈশ্বিক জলবায়ুর ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিস্ফোরণের ফলে সূর্যের আলো কমে গিয়ে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। এতে মরুভূমি উর্বর ভূমিতে রূপ নিতে পারে এবং নদীর সৃষ্টি হতে পারে।
৩. উল্কার সংঘর্ষ:
বিশাল উল্কার সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে বায়ুমণ্ডলে মহাকাশীয় ধুলো জমে সূর্যের আলো কয়েক মাস বা বছর পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারে। ফলে আরব অঞ্চল ঠান্ডা হয়ে যাবে এবং মরুভূমি তৃণভূমিতে পরিণত হতে পারে।
৪. পৃথিবীর অক্ষের স্থানচ্যুতি:
মহাকাশীয় বড় কোনো পরিবর্তনে পৃথিবীর অক্ষ স্থানচ্যুত হলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটবে। এর ফলে বৃষ্টিপাত বেড়ে গিয়ে আরব উপদ্বীপ সবুজ হয়ে উঠতে পারে।
অতীতের ইঙ্গিত:
ড. মিসনাদ উল্লেখ করেছেন, ৭,০০০ বছর আগে আরব উপদ্বীপ সবুজ তৃণভূমি ও নদী বহমান অঞ্চল ছিল। জলবায়ুর পরিবর্তন সেই দৃশ্যপট আবার ফিরিয়ে আনতে পারে।
এই গবেষণা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটকে যুক্ত করেছে, যা মুসলিম বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post