২০২৪ সালে পবিত্র কোরআন ধারনের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছেন ১৫ জন কোরআনের হাফেজ। তাদের মধ্যে রয়েছেন এক নারী এবং দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিভাবান হাফেজরা। সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, মিশরসহ নানা দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তারা সাফল্যের গল্প লিখেছেন।
১. হাফেজ মুশফিকুর রহমান
কাতারে অনুষ্ঠিত তিজান আন নূর প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্ব থেকে অংশগ্রহণ করা লক্ষাধিক প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম হয়ে বাংলাদেশের জন্য সাফল্যের প্রথম সূচনা করেন।
২. হাফেজ বশির আহমাদ
ইরানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০ দেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেন। এর আগেও আলজেরিয়ায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।
৩. হাফেজ হুজাইফা
তানজানিয়ায় ১০ বছর বয়সী এই হাফেজ প্রথম স্থান অর্জন করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন।
৪. হাফেজ আবু রায়হান
সেনেগালে আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশের প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শীর্ষে অবস্থান করেন।
সৌদি আরবে কিং আবদুল আজিজ কোরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ ও হাফেজ আনাস বিন আতিক, তুরস্কে হাফেজ মাহমুদুল হাসান, এবং কুয়েতে হাফেজ আনাস মাহফুজ তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে বিজয় ছিনিয়ে আনেন।
হুমাইরা মাসউদ মিশরে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অনারব গ্রুপে পঞ্চম স্থান অর্জন করে প্রমাণ করেছেন নারীরাও বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল করতে পারে।
তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল প্রতিযোগিতায় বিজয় অর্জন করে দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন।
এই ১৫ হাফেজের সাফল্য শুধু তাদের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়; এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক অর্জন। তারা পবিত্র কোরআনের আলোকে বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের জন্য প্রেরণা সৃষ্টি করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post