পানামা খালের পর এবার গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মন্তব্য করে আবারও বিতর্ক উসকে দিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বায়ত্তশাসিত ড্যানিশ ভূখণ্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘খুব জরুরি’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পেপ্যালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কেন হাওয়ারীকে ডেনমার্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে, গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প লেখেন,
বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়া খুব জরুরি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। কেন হাওয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে চমৎকার কাজ করবেন।
১৯৭৯ সালে ডেনমার্ক থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ করা সত্ত্বেও, গ্রিনল্যান্ড বৈদেশিক বিষয়, নিরাপত্তা এবং আর্থিক বিষয়ে কোপেনহেগেনের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি ইউরেনিয়াম, সোনা, তেল এবং গ্যাসের বিশাল মজুদাগার হিসেবে পরিচিত।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য ডেনমার্ককে ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের প্রস্তাব দেন।
এরপর ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বীপটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে ওয়াশিংটন ও কোপেনহেগেনের মধ্যে একটি ‘সংক্ষিপ্ত কূটনৈতিক ফাটল’ সৃষ্টি হয়। এমনকি সে সময় ট্রাম্পকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয় সফরও বাতিল করতে হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post