বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে ভারত নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সীমান্ত শহর পেট্রাপোলকে বড় শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-র রেইজিং ডে উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর এই পরিকল্পনার কথা জানান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন পেট্রাপোলে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য ৩০ কোটির আধুনিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, পেট্রাপোলকে বড় সীমান্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, “আমরা পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্ত নতুন রেল স্টেশন নির্মাণ করতে চাই এবং কলকাতা থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছি। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় চিকিৎসার জন্য আসেন, তাই তাদের জন্য উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।”
শান্তনু ঠাকুর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশের আসল সরকার আর নেই। একসময় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে মৌলবাদ ও সঠিক নীতি-নির্ধারণের অভাবে দেশটি ৫০ বছর পিছিয়ে পড়েছে। সিরিয়ার মডেলে যেভাবে বাংলাদেশে সভা হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে যদি কেউ ভারতের ঐক্য ও নিরাপত্তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে তা আমরা সহ্য করব না। বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে আমরা সবসময় সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।”
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করার দাবি ও অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য মূলত ভারতের কিছু রাজনৈতিক দলের ভোটকেন্দ্রিক কৌশল। তবে ভারতের পক্ষ থেকে সীমান্ত অঞ্চলে উন্নয়নের উদ্যোগ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচনের সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা ও সীমান্ত অঞ্চলে যাতায়াত সহজ করতে ভারতের মেট্রো সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনা কীভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post