যুক্তরাজ্যে এক যুবককে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তার নাম ফারনাজ ফারাবি (২৮)। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে নারীকে ধর্ষণ, হাতুড়ি দিয়ে মারধর এবং হত্যার হুমকির অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
এমনকি নির্যাতনের সময় কখনও কখনও তিনি ওই নারীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের ওয়েবসাইটেও ওই যুবকের অপরাধ ও সাজার তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশের ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে নির্যাতন চালানোর সময় ফারনাজ ফারাবি ওই নারীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাকে ধর্ষণ করে, তার গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয় এবং তার শরীরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেয়।
এই বছরের মার্চ মাসে নির্যাতিত ওই নারীর সহকর্মীরা তার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখলে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে এবং এরপরই বিষয়টি আমাদের (পুলিশকে) প্রথম জানানো হয়। এরপর আমাদের পাবলিক প্রোটেকশন ইউনিট তদন্ত শুরু করে এবং দেখা যায়— নির্যাতনের শিকার ওই নারীর একটি ভাঙা হাত এবং তার গোড়ালি, নাকে ক্ষত এবং শরীরে বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্ত ফারাবি প্রাথমিকভাবে কোনও অপরাধ করার কথা অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ওয়ারউইক ক্রাউন কোর্টে বিচারের সময় নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাধ্যমে আহত করার কথা স্বীকার করেন এবং ওই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে বিচার শেষে কভেন্ট্রি শহরের জেসমিন গ্রোভের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সী এই যুবককে গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ফারনাজ ফারাবির এই অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন এলিস বারবিজ। তিনি বলেছেন: “দীর্ঘ সময় ধরে দুর্বল ওই নারীর ওপর ভয়াবহ শারীরিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। ওই নারীকে যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। তিনি তার শরীরজুড়ে ব্যাপক এবং স্থায়ী ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন এবং বর্তমানে নিরাপদ পরিবেশে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের অপরাধ আতঙ্কজনক ও অমার্জনীয় এবং অভিযুক্ত ফারাবি উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য কারাগারে বন্দি থাকবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post