মালয়েশিয়ায় কাউয়াগুসি ম্যানুফ্যাকচারিং এসডিএন বিএইচডিতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে হাইকমিশনের উদ্যোগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে হাইকমিশনের নজরে আসে, কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বকেয়া বেতন পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকমিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির প্রতিনিধিদের ডেকে কর্মীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। ওই বৈঠকে উভয়পক্ষের সম্মতিতে ডিসেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে বকেয়া বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় কোম্পানি।
বৈঠকের তিনদিন পর, হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কোম্পানির অফিসে গিয়ে প্রথম কিস্তির বকেয়া বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এরপর কর্মীরা যথারীতি কাজ শুরু করেন এবং নিয়মিত বেতন পেতে থাকেন।
কয়েকদিন আগে কর্মীদের পক্ষ থেকে পুনরায় বকেয়া বেতন না পাওয়ার অভিযোগ আসে। হাইকমিশন আবারও কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে কোম্পানি তাদের আর্থিক দুরবস্থা, বিদেশি ক্রয় আদেশ বাতিল এবং উৎপাদন বন্ধের বিষয়গুলো তুলে ধরে।
শুক্রবার রাতে কর্মীদের কর্মবিরতি ও অফিস ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে হাইকমিশনারের নির্দেশে রাত ১১টায় প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের প্রতিনিধিদল কোম্পানিতে উপস্থিত হন। রাত ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পুলিশ বিভাগের সদস্য, কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শনিবার সকাল ১০টায় পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ সুপার, জেটিকে (মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ) এর প্রতিনিধি, কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মীদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনা শেষে জেটিকেতে দায়েরকৃত অভিযোগের শুনানি ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয় এবং সেদিন পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার নিশ্চিত করতে তারা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post