ওমানে ট্যাক্স বা আয়কর আরোপের খসড়া বিলের উপরে স্টেট কাউন্সিলে আবারও আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, এই আইনটিকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের তালিকায় রেখেছে কাউন্সিল।
সাধারণত যে কোনো বিল স্টেট কাউন্সিলের অনুমোদনের পর তা সুলতানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনে পরিণত হয়। ফলে বুধবারের এই অধিবেশনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কারা কারা এর আওতায় আসবেন আর কারা বাদ পড়বেন সে সম্পর্কে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে সুখবর হলো যাদের আয় মাসে আড়াই হাজার রিয়াল অথবা বছরে ৩০ হাজার রিয়ালের কম তাদের এই বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আর যাদের বার্ষিক আয় বছরে ৩০ হাজার রিয়ালের উপরে তাদের নির্ধারিত হারে আয়কর জমা দিতে হবে।
ওমানে নতুন করে ট্যাক্স আরোপের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কর্মীরা। কারোও কারোও মতে পারসোনাল ইনকাম ট্যাক্স ওমানের অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে কল্যাণ বয়ে আনবে।
তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, বর্তমানে ওমানে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে করারোপের সিদ্ধান্ত তাদের জন্যই বড় বোঝা হিসেবে কাজ করবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনকাম ট্যাক্স ওমানের বাসিন্দাদের কল্যাণেই ব্যয় হবে। কারণ অবকাঠামো, যোগাযোগ খাত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সরকারের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে আয়করের ধারণা এক্ষেত্রে যৌক্তিক সমাধান নিয়ে আসবে। অধিকন্তু এর সফল ভোগ করবে দেশের জনগনই।
এর আগে শুরা কাউন্সিলের ইকোনমিক ও ফিন্যান্সিয়াল কমিটির সভাপতি আহমেদ আল শারকি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত আয়কর আইনের যে খসড়াটি আছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মতে দেশের জনসংখ্যার বড় একটি অংশই আয়কর আইনের আওতামুক্ত থাকবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post