ভারতীয় রুপির দামের রেকর্ড পতন ঘটেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নতুন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার নিয়োগের পরদিনই ডলারের তুলনায় রুপির মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এতে অর্থনৈতিক উদ্বেগ আরও বেড়েছে, বিশেষ করে শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, আরবিআইয়ের নতুন গভর্নর হিসাবে সঞ্জয় মালহোত্রার নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি ১৯৯০ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারের একজন অভিজ্ঞ আমলা। শক্তিকান্ত দাসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি তিন বছরের মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে তার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ডলারের তুলনায় রুপির দাম ৮৪.৮০-তে থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তা হয়নি। বাজারে রুপির মান নেমে ৮৪.৭৫-এ স্থিতিশীল থাকে, যা আগের সেশন থেকে আরও কম।
আগামীকাল, ১১ ডিসেম্বর, দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন সঞ্জয় মালহোত্রা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে থাকা সঞ্জয়ের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ডলারের বিপরীতে রুপির মান স্থিতিশীল রাখা এবং মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে আনা। এর পাশাপাশি, জিডিপি ও আর্থিক বৃদ্ধির সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখাও তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
রুপির এই দরপতন ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ তৈরি করেছে। তবে রিজার্ভ ধরে রাখতে আরবিআই পদক্ষেপ নিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোর মাধ্যমে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষায় ভারত আপস করতে রাজি নয়।
জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘নেমুরা’ মন্তব্য করেছে, সঞ্জয় মালহোত্রা একটি কঠিন সময়ে আরবিআইয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। মুদ্রানীতি পুনর্গঠনে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের মধ্যে আরবিআই রেপো রেট কমানোর সম্ভাবনার বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। তবে রুপির মান নিয়ে চলমান উদ্বেগ অর্থনীতির অন্যান্য খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
সঞ্জয়ের নেতৃত্বে আরবিআই কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, তা দেখতে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

Discussion about this post