মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতের শ্রমবাজার নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও কুয়েতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ তারেক হোসেনের একক সিদ্ধান্ত ও অনিয়মের কারণে শত শত কর্মী নিয়োগের ফাইল মাসের পর মাস দূতাবাসে আটকে আছে, ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি কুয়েতের একটি কোম্পানিতে কর্মরত ১৯০ জন বাংলাদেশি কয়েক মাস ধরে বেতন না পেয়ে থানায় অভিযোগ করলে ১৩০ জনকে বেতন ছাড়াই দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দূতাবাসের অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে, রাষ্ট্রদূত নতুন বেতন কাঠামো ছাড়া চাহিদাপত্র সত্যায়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, যা নিয়োগদাতা কোম্পানি ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কুয়েতের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।
আরও
বিশেষজ্ঞরা দ্রুত দূতাবাসের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ ও সমস্যা সমাধানে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।











