বিশ্বজুড়ে চালকবিহীন বা স্ব-চালিত (অটোনোমাস) গাড়ি নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। ওয়েমো, ক্রুজ, পনি এআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই সীমিত আকারে চালকহীন গাড়ির পরীক্ষামূলক সেবাও শুরু করেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ও বেইজিংসহ চীনের বেশ কয়েকটি শহরে।
গত অক্টোবরে টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটির ‘সাইবারক্যাব’ রোবোট্যাক্সি ও রোবোভ্যান তুলে ধরেন সকলের সামনে। যদিও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো টাইমলাইন এখনও ঘোষণা করেন মাস্ক। সারা বিশ্বে চালকবিহীন গাড়ির বাজার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এবার রাইড-শেয়ারিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উবার-ও নতুন এই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রকাশিত ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চালকহীন বা স্ব-চালিত যান প্রযুক্তির সুপরিচিত স্টার্টআপ পনি এআই-তে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে আমেরিকার বহুজাতিক পরিবহণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান উবার।
নতুন বিনিয়োগ উত্তোলনের উদ্দেশ্যে পনি এআই অচিরেই তাঁদের ২০ মিলিয়ন (আমেরিকান ডিপোজটরি) শেয়ার নাসদাক স্টক মার্কেটে অফার করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে (আইপিও) শেয়ার প্রতি দাম ধার্য করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ ডলার। সে হিসেবে ২০ মিলিয়ন শেয়ার বিক্রি করে পনি এআই ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উত্তোলন করতে পারে আমেরিকার বাজার থেকে।
উল্লেখ্য, গত মাসে পনি’র প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান উইরাইড আমেরিকার বাজারে শেয়ার বিক্রি করে ৪৪০.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ উত্তোলন করতে সক্ষম হয়। উইরাইড-এর ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং-এও (আইপিও) উবার অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি।
পনি এআই-এর শেয়ার ক্রয় করার পাশাপাশি তাঁদের স্ব-চালিত (অটোনোমাস) প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে ইচ্ছুক উবার। তাই পার্টনারশিপের ভিত্তিতে উবারের সার্ভিসে পনি’র প্রযুক্তি ব্যবহারের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এমনটা হলেও সেটা আমেরিকার বাইরে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
চীনের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন বাইডুর দু’জন প্রাক্তন প্রকৌশলী- জেমস পেং ও তিয়ানচেং লু- ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন পনি এআই। অটোনোমাস ড্রাইভিং প্রযুক্তিতে ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বেইজিং, শেনজেনসহ চীনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বর্তমানে তাঁদের ২৫০টিরও বেশি স্ব-চালিত প্যাসেঞ্জার কার যাত্রীদেরকে রাইড সার্ভিস প্রদান করছে। জাপানের অটোমোবাইল জায়ান্ট টয়োটা ২০২০ সালে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে পনি’তে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ১২ দশমিত ৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক টয়োটা।
উল্লেখ্য, পনি’র হেডকোয়ার্টার দুটি। একটি চীনের গুয়াংঝু’তে, অন্যটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ফারমন্টে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post