ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিগত প্রায় মাস খানেক সময় ধরে বাংকারেই অফিস করছেন। গত ১৯ অক্টোবর ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী শহর সিজারিয়ায় অবস্থিত তাঁর বাড়িতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলার পর থেকেই তিনি ভূগর্ভস্থ ব্যাপক সুরক্ষিত কামরায় অফিস করছেন। এমনকি নিরাপত্তা সংকটে নিজের ছেলে আভনের বিয়ের তারিখও পিছিয়েছেন।
গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিচে ভূগর্ভস্থ একটি সুরক্ষিত কামরায় থেকেই বেশির ভাগ কাজ করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিজারিয়ায় তাঁর বাড়িতে হিজবুল্লাহর হামলার পর থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওপরের তলায় অবস্থিত তাঁর জন্য নির্ধারিত কামরায় স্বাভাবিকভাবে অফিস করছেন না। ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসারেই তিনি এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর সহকর্মীদের বলেছেন, ড্রোন ও অন্যান্য হামলার ঝুঁকির কারণে তাঁকে ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত একটি ভূগর্ভস্থ কামরা থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে পরিচিত ‘স্থায়ী স্থানগুলো’ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর একটি বিস্ফোরক ড্রোন নেতানিয়াহুর বাড়িতে আঘাত হানে। হামলার সময় নেতানিয়াহু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তবে সেই ড্রোন হামলায় তাঁর শয়নকক্ষের জানালায় আঘাত করলেও তা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন নিরাপত্তা প্রোটোকলগুলোই সম্ভবত সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকের স্থান পরিবর্তনের কারণ এবং নেতানিয়াহুর ছেলে আভনের বিয়ের তারিখও পিছিয়ে পরবর্তী সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খুব শিগগির এই বিয়ের আয়োজন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সূত্র।
এদিকে, নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে চলমান কয়েকটি মামলায় আদালতে তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার নির্ধারিত সময় পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা আছে। আইনজীবীরা বলেছেন, বারবার একই জায়গায় উপস্থিত হলে তাঁর নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে। প্রতিবেদন অনুসারে, আদালতে কোনো নিরাপদ কক্ষ বা বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। নেতানিয়াহুর সাক্ষ্য প্রদান আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post