কক্সবাজারের টেকনাফে একজন প্রবাসীর স্ত্রীর অভিযোগ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মুবিনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘুষের টাকা না পাওয়ায় এএসআই মুবিন ওই নারীকে আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপনের প্রস্তাব দেন।
বাহারছড়ার এক নারী গতকাল বুধবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। টেকনাফ শামলাপুল শীলখালী এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী হিসেবে পরিচিত এই নারী।
১৬ অক্টোবর, একদল দুর্বৃত্ত এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে এবং জমি দখলের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবার পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি দলের সদস্য, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মুবিন, ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ঘুষ নেন।
এরপর ১৮ অক্টোবর, আব্দুল মুবিন ব্যক্তিগতভাবে ভুক্তভোগী নারীকে কল করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে আসার জন্য অনুরোধ করেন, যা স্পষ্টতই অনৈতিক ও অবৈধ।
তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রতিদিন ভুক্তভোগীর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ও কল দিতে থাকেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, মুবিন স্যার তার কাছ থেকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দুই দফায় টাকা নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে তাকে আবাসিক হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তার কাছে এই ঘটনার সকল প্রমাণ সংরক্ষণ করা আছে। তবে, এসআই আব্দুল মুবিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তিনি ওই নারীর সাথে কখনো কথা বলেননি।
এই ঘটনায় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি আরও জানান যে, তদন্তের পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাকিল আহমেদ এই ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছেন এবং ভুক্তভোগীকে সঠিক বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post