লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানবতা আজ কোথায়? ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের মেরে ফেলছে। এখনই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী মিকাতি ইসরায়েলের সঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ইসরায়েলকে বেসামরিক নাগরিক ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার হামলায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এটা আর গ্রহণযোগ্য নয়। কোথায় মানবতা? আমরা কোন বাস্তবতায় বাস করছি?
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) লেবাননে বড় ধরনের হামলা করেছে ইসরায়েল। বৈরুতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্ট্রাল বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ভিডিও এবং ফ্যাক্ট চেকিং এজেন্সি সনদের যাচাই করা ভিডিওতে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার দেখা মিলেছে। বৃহস্পতিবার রাস এল নাবা এবং আল নুয়েইরিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর এক সিনিয়র নেতাকে নিশানা করে এ হামলা করা হয়েছে। হামলার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবাসিক ভবন ও ছোট শপিংমলের কাছে একটি গ্যাস স্টেশন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহর পরিচালিত আল মানার টেলিভিশনের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার পর থেকে উদ্ধারকর্মীরা টর্চ ব্যবহার করে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। হামলার বিষয়ে ইসরায়েল তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে মিকাতি আরও বলেন, দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর ইসরায়েলি হামলা ঘৃণ্য অপরাধ।
প্রসঙ্গত, লেবাননে হামলায় যুদ্ধের কোনো নিয়ম-নীতি মান্য করছে না ইসরায়েল। এমনকি তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের তিনটি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) পৃথক দুুটি অবস্থানে হামলা হয়। অপর হামলটি করা হয় বুধবার (৯ অক্টোবর)।
জাতিসংঘের বাহিনী বলেছে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ক্রমাগত হামলা করছে। সেখানে তীব্র লড়াই হচ্ছে। অঞ্চলটিতে বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেতানিয়াহুর বাহিনী দিচ্ছে না। এরই মধ্যে জাতিসংঘের বাহিনীর ব্যবহৃত স্থানে হামলা হলো।
শান্তিরক্ষী বাহিনী আরও বলেছে, একটি ঘটনায় ইসরায়েলি ট্যাংক নাকোরায় বাহিনীর প্রধান সদর দপ্তরের একটি ওয়াচটাওয়ারে গুলি ও গোলা নিক্ষেপ করে। এতে টাওয়ারটি ভেঙে পড়ে। সেখানে তাদের দুজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। অন্য দুটি ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিরক্ষীদের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে যে কোনো আক্রমণ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। আর এটিই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী করল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post