মাছ শিকারে যাওয়া নাফনদীতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে মিয়ানমারের আরকান আর্মি নৌকাসহ পাচঁ জেলে অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে টেকনাফের নয়াপাড়া নাফনদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার ৮টা পর্যন্ত জেলেদের ফেরত দেয়নি তারা।
জেলেরা হলেন, রাশেদ হোসেন, মো. বোরহান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাশেল ও মোহাম্মদ আলম। তারা পাঁচজনই টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়া বাসিন্দা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার এলাকায় পাচঁ জেলে নাফনদীতে মাছ ধরতে গেলে তাদের ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বাহিনী। তাদের কারা নিয়ে গেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সেদেশে চলমান যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে অঞ্চল আরকান আর্মি দখলে। তাই ধারণা করা হচ্ছে আরকান আর্মি সদস্যরা নিয়ে গেছে।
স্থানীয় জেলেদের ভাষ্য মতে, সোমবার সকালে প্রতি দিনের মতো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা আবদুল মজিদের মালিকাধীনসহ ৩টি নৌকা নাফনদীতে মাছ শিকারে যান। এসময় মিয়ানমারের আরকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে জেলেদের ধাওয়া করে। এতে দুটি নৌকাসহ মাঝিমাল্লারা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও মজিদের নৌকাসহ পাচঁ মাঝি মাল্লাকে ধরে নিয় যায়।
অপহরণের শিকার জেলে মো. আলমের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় আমার ছেলে অন্যজেলেদের সাথে নাফনদীতে শিকারে যায়। এসময় তাদের ধাওয়া করে। অন্য জেলেরা পালিয়ে আসতে পারলেও আমার ছেলেসহ পাচঁজন জেলেকে ধরে নিয়ে আরকান আর্মির লোকজন। এখন পর্যন্ত আমার ছেলের কোন খোঁজ খবর পায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে তাদের ফেরত আনতে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি সাথে কথা চলছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিইদ্দীন আহমেদ জানান, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি তাদের দ্রত ফেরত আনতে সক্ষম হবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post