ওমানের শ্রম আইন নিয়ে যথাযথ ধারণা না থাকায় প্রায়ই নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিককে অহেতুক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে থেকেই খুব সহজে ছোটখাটো শ্রম আইন ভঙ্গের বিষয় মীমাংসা করা যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে শ্রম মন্ত্রণালয় একটি সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছে, যদি শ্রম আইন ভঙ্গকারী ইচ্ছুক হন তাহলে তিনি জরিমানার এক চতুর্থাংশ পরিশোধ করে কোর্ট কাচারির ভোগান্তি এড়াতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত ফর্ম পূরণের মাধ্যমে আইন ভঙ্গকারী সমঝোতার জন্য অনুরোধ করবেন। এটি গৃহীত হলে তার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যেই তাকে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করতে হবে। কোনো কারণে যদি আবেদন গৃহীত না হয় তাহলে অবশ্য সাধারণ আইনি প্রক্রিয়াতেই অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া সমঝোতা হলেও তার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে যে বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তা থেকে দোষমুক্তির প্রমাণ দেখাতে হবে।
যদিও এই সুবিধা কোনো অবৈধ প্রবাসী নিতে পারবেন না। বর্ণিত মন্ত্রণালয়ের সেই সিদ্ধান্তের ৪ ধারায় স্পষ্ট করা হয়েছে, যদি কোনো প্রবাসী ওমানির জন্য বরাদ্দ করা পেশায় কাজ করেন কিংবা ওমানে অবৈধভাবে প্রবেশ করে থাকেন তাহলে তার পরিণতিতে অবশ্যই দেশত্যাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা তার দেশে ফেরার খরচ বহন করবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post