বাতিল হওয়া ফ্লাইটের জন্য রিশিডিউল করতে হয়েছে টিকিট। নির্দেশনা ছিলো অতিরিক্ত কোনো টাকা নেবে না এয়ারলাইন্স বা এজেন্ট। তবে এক্ষেত্রে সায়মা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে নতুন করে ১৮ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছেন এক সৌদি প্রবাসী। কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট নেয়ার কারণেই কি অতিরিক্ত এ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছে এজেন্সি?
সম্প্রতি মাইক্রোসফটের ক্লাউড সিস্টেমে ত্রুটি ও দেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় একে একে বাতিল হয় ১১টি ফ্লাইট। তবে গত তিন-চার দিনে বিভিন্ন ফ্লাইটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব যাত্রীকে গন্তব্যে পাঠায় এয়ারলাইন্সগুলো।
প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিলো, বাতিল ফ্লাইটের কোনো যাত্রীর টিকিট রিশিডিউলে কোনও টাকা লাগবে না। কিন্তু সংকট পরিস্থিতিতেও রেমিট্যান্স যোদ্ধার পকেট কাটতে দ্বিধা করেনি ট্র্যাভেল এজেন্সি।
সংকটকালীন প্রবাসীদের আবাসন সমস্যা নিয়ে জানতে খিলক্ষেতের বরুয়া বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে যায় সংবাদ মাধ্যম। সেখানে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় অবস্থান নেন জাকির নামে এক সৌদি প্রবাসী। তিনি জানান, টিকিট রিশিডিউলের জন্য এজেন্ট সায়মা এন্টারপ্রাইজকে নতুন করে তাকে দিতে হয়েছে ১৮ হাজার টাকা।
এ প্রবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে গিয়ে পাওয়া যায় সায়মা এন্টারপ্রাইজের ঠিকানা। কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. মাইনুদ্দিনের সঙ্গে। অকপটেই স্বীকার করলেন টাকা নেয়ার বিষয়টি। কিন্তু তথ্য গোপন রাখলেন টিকিট কালোবাজারির।
তিনি বলেন, ‘আমি এজেন্ট থেকে নেইনি। অনেকেই হাতে হাতে টিকিট করেন। তারা আবার বিক্রি করেন অফিসে অফিসে, যে আপনার লাগবে কি না। ওইরকম একজনের থেকে নিয়েছি। এখন এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট নিলে টাকা লাগে কি না আমি জানি না।’
এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তখন দেখবো।’
কঠোর নির্দেশনার পরও নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রবাসীদের। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মন্ত্রণালয়কে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post