বিশ্বের নানা প্রান্তে নানা রকমের সংস্কৃতি ও জীবনধারা। আমাদের দেশেও কিন্তু বৈচিত্র্যের শেষ নেই। আবার কিছু দেশে আজও মানুষ অতি প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী জীবনধারা পালন করছেন। কিন্তু এখানে এক এলাকার মানুষের কথা বলা হবে, যারা বেছে নিয়েছেন অদ্ভুত জীবন। আর তার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে টিভির।
প্রায় সব মানুষ ঘুমোনোর সময় লাইট, মিউজিক ইত্যাদি বন্ধ করে দেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এমন একটা জায়গা আছে, যেখানে মানুষ রাতে লাইট ও টিভি চালিয়ে রাখেন। শুধু তাই নয়, এখানকার মানুষ সব সময় আতঙ্কে থাকেন এবং রাতেও শান্তিতে ঘুমোতে পারে না।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ইয়ংপিয়ং নামে একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ছোট্ট দ্বীপ ইয়ংপিয়ংয়ে যাঁরা বাস করেন, সেই সব মানুষের জীবনে শান্তি ও সুখ নেই। জরুরি পরিস্থিতির জন্য সেখানকার মানুষকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
এই দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার শত্রু দেশ উত্তর কোরিয়া থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে। উত্তর কোরিয়া এখানে গুলিও চালিয়েছে এ যাবৎ কালের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ প্রতিনিয়ত সতর্ক থাকে। শুধু তাই নয়, কামানের হামলা থেকে বাঁচতে সেখানকার মানুষ সব সময়ে শেল্টারের ব্যবস্থাও রাখেন।
২০১০ সালেও এই হামলায় কয়েক জন মারা গিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে এখানে অনেক বোমা শেল্টার তৈরি করা হয়েছে। এখানে বাঙ্কারগুলোতে এক সপ্তাহের খাবার, চিকিৎসার জিনিসপত্র, বিছানা, শাওয়ার, এবং গ্যাস মাস্কসহ বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এখানে বসবাসকারী মানুষদের আশঙ্কা, একদিন উত্তর কোরিয়া তাদের উপর হামলা চালাতে পারে। এ কারণেই এখানকার মানুষ রাতে লাইট ও টিভি জ্বালিয়ে ঘুমান। যাতে তারা সজাগ থাকতে পারেন এবং খুব গভীর ঘুম না হয়। কিছু পরিবার টিভি চালু না করলেও সবাই লাইট জ্বালিয়ে ঘুমান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post