বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি সার্ভিস চালু হতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের মধ্যে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও রনিল বিক্রমাসিংহের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়েও আলোচনা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং সম্ভাব্য যাত্রীবাহী ফেরি পরিষেবা চালুর বিষয়ে আমাদের কথা বলেছি। বাংলাদেশের কৃষি পদ্ধতি জানতে শ্রীলঙ্কা থেকে সেখানে কৃষি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনাবর্ধনে ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি সেখানে আমার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সন্তুোষ প্রকাশ করেন। নির্বাচনের পরে আমি বাংলাদেশ সফরের আশ্বাস দিয়েছি তাকে।’
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এই প্রথম যাত্রীবাহী ফেরি চালু হচ্ছে। এটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও ভ্রমণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় আগে থেকেই ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল ছিল। এই রুটে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দ্য ইন্দো-সিলন এক্সপ্রেস ফেরি চলাচল করত।
তবে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের কারণে ঘটা নানা রাজনৈতিক টানাপড়েনে প্রায় চার দশক বন্ধ ছিল এই ফেরি চলাচল। এরপর মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ দিকে গত বছর অক্টোবরে তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম ও শ্রীলঙ্কার কানকেসান্তুরাইয়ের মধ্যে আবার ফেরি চালু হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post