দীর্ঘ ১২ বছর পর ইতালিতে পুনরায় চালু হলো স্পন্সরশিপ ভিসা। এ বছর বাংলাদেশিরাও আবেদন করতে পারবেন। সর্বমোট ৩০ হাজার ৮৫০ জন আবেদনকারীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। দুই ক্যাটাগরিতে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে।
১) সিজনাল বা মৌসুমি কাজের জন্য ১৮ হাজার আবেদনকারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে ইতালিতে। কৃষি , হোটেল ট্যুরিজম ক্ষেত্রে সাধারণত ৬ মাসের জন্য নেওয়া হয় এসব শ্রমিক। ৬ মাস পর কাজের চুক্তি শেষে ফিরতে হবে দেশে।
২) স্থায়ী , স্ব-কর্মসংস্থান ও কনভেনশনান ক্ষেত্রে নেওয়া হবে ১২ হাজার ৮৫০ জনকে। এ শ্রেণীর কর্মী এবং বিনিয়োগকারীরা ইচ্ছামতো যত দিন ইচ্ছা ইতালিতে থাকতে পারবেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন ভবিষ্যতে।
এর মধ্যে কৃষি, হোটেল ট্যুরিজম সেক্টরে ৬ মাসের জন্য শ্রমিক নেয় ইতালি। ৬ মাস পর কাজের চুক্তি শেষে আবার তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে হয়। চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরি কোস্ট, মিসর, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলডোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন থেকে যেতে পারবেন শ্রমিকরা।
আরো পড়ুনঃ রহস্যময় ওমানের সুলতান
কিভাবে আবেদন করবেন: সরাসরি কেউ আবেদন করতে পারবেন না। তবে আপনারা দুইটি পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারেন- প্রথম পদ্ধতি- কোন আত্মীয়-স্বজন ইতালিতে থাকলে অথবা পরিচিত বা কাছের কাউকে দিয়ে ইতালি সরকারের কাছে আপনি আবেদন করতে পারেন।তবে যেই আবেদন করুক না কেনো তার SPID আইডি থাকতে হবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি: কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অথবা লয়ার এর মাধ্যমে তাদের সাথে চুক্তি করে আবেদন করাতে পারেন। আবেদন করা মানে ইতালিতে চলে যাওয়া না। আবেদন করার পর আপনি নির্বাচিত হলে বাকি কাজগুলো করতে হবে। মনে রাখবেন এই প্রক্রিয়ায় ইতালি যাওয়ার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ৬ থেকে ১ বছর লেগে জেতে পারে।
আবেদন করার যোগ্যতা: আবেদন করার পরে যদি আপনি নির্বাচিত হন তাহলে -পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে) লাগবে। অবশ্যই বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। ছেলে মেয়ে উভয় আবেদন করতে পারবেন।
খরচ: অবশ্যই মাথায় রাখবেন এখানে দুই ধরনের ভিসা একটা সিজনাল আরেকটা হচ্ছে নন সিজনাল। যারা নন সিজনাল ভিসায় যাবে তারা সেখানে পার্মানেন্ট থেকে কাজ করতে পারবে। নন সিজনাল ভিসায় যেতে হলে অবশ্যই তাদের অতিরিক্ত কিছু যোগ্যতা লাগবে। আর যারা সিজনাল ভিসায় যাবে তারা সেখানে ৬-৯ মাস পর্যন্ত থাকতে পারবে।
এখন আপনি এই সময়ে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং কত টাকা দিয়ে আপনার যাওয়া উচিত হবে এটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর আপনি যার মাধ্যমে যাবেন অথবা যেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যাবেন তারা আপনার কাছ থেকে কত টাকা নিবে এটা আসলেই তাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর এই ৩০৮৫০ জন লোক শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে না ৩২ টা দেশ থেকে নিবে।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক সুন্দরের অপরূপ লীলাভূমি ওমান
কিছু মানুষ এই সুযোগটার জন্য বসে আছে, তারা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য ওৎ পেতে আছে। সাধারণত আবেদন করতে ১৫ থেকে ২০ ইউরোর মতো লাগে। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় সর্বোচ্চ ১৮০০ (আঠারো শত) টাকার সমপরিমাণ। সুতরাং কোনো আত্মীয়-স্বজন বা কাছের মানুষ ইতালি থাকলে তাদের মাধ্যমে এপ্লাই করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে, কারো সাথে চুক্তিভিত্তিক এপ্লাই করলে সেটা নিজ দায়িত্বে করবেন। আবেদন করা এবং সিলেক্ট হবার পর কাগজপত্র আসা মানেই ভিসা হয়ে গেছে এমন টা নয়। ইতালির ভিসা নির্ভর করবে পুরোটাই এম্বাসির উপর।
আরো দেখুনঃ রহস্যময় ওমানের সুলতান
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post