কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামের মৃত চান মিয়ার তিন ছেলে খাইরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ সৌদি আরবের দাম্মাম আল হাচা শহরে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে কফিল (মালিক) সামিম আহমেদ হলিবির সঙ্গে একটা সখ্যতা গড়ে উঠে তাদের। অর্জন করেছেন মালিকের আস্থা ও ভালবাসা। সন্তানের ন্যায় যত্ন করেন তাদের। তাই তো সেই সম্পর্কের টানে বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশে কর্মচারীদের বাড়িতে ছুটে এসেছেন।
গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সৌদি নাগরিক সামিম আহমেদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিলা হলিবি। এ সময় সেখানে উপস্থিত খাইরুল ইসলাম।
এরপর আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০ টায় সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে হোসেনপুর উপজেলার পৌর এলাকার ঢেকিয়া খেলার মাঠে এসে নামেন। এ সময় সৌদি মালিক ও তার ছেলেকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান গ্রামবাসী। পরে প্রাইভেটকারে চড়ে কর্মচারীদের পৌর এলাকার বাসায় যান। তিন দিন থেকে ঘুরে ঘুরে দেখবেন বাংলাদেশের সৌন্দর্য।
বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে এমন প্রশ্নে সামিম আহমেদ হলিবি বলেন, খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি অনেক খুশি। তারা (খাইরুল, হামিদ ও সাহিদ) শুধু আমার কর্মচারী না আমার সন্তানের মতো।
তিনি আরও বলেন,
“সততা ও বিনয়ের জন্য এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মান বজায় রাখার জন্য তাদের ওপর আমি অনেক বেশি নির্ভরশীল।”
প্রবাসী কর্মচারী আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের বাড়িতে আমাদের কফিল (মালিক) আসছে। আমরা অনেক আনন্দিত। উনারা (মালিক ও তার ছেলে) কয়েক দিন থেকে আমাদের গ্রাম-শহর ঘুরে দেখবেন। আমাদের দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে। আমার মালিক খুবই ভালো মানুষ। আমাদের অনেক সহযোগিতা করেন। মালিকের সঙ্গে আমার ভাইয়েরাও আসছে সৌদি আরব থেকে।
হাজী আমির উদ্দিন বলেন, আমি ২৩ বছর সৌদি আরব এই মালিকের অধীনে কর্মরত ছিলাম। আমার মালিক এসেছে শুনে রিসিভ করতে আমরা এসেছি। এই ছেলেগুলো এতিম ছিল, আমার আত্মীয়। আমি তাদেরকে সৌদি আরব নিয়েছিলাম। তারা এখন প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post