পর্যটকদের জন্য সিকিম পর্যটন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, পাকিয়ং এবং গ্যালসিং জেলার সব প্রান্ত পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিস্তার হড়পা বানে যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছিল সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ফের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিকিম।
বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম। এবার পর্যটকদের জন্য খুলে গেল প্রায় গোটা সিকিমের দরজা। সিকিমের পর্যটক ও অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সুখবর জানানো হয়েছে।
সোমবারের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সিকিমের একেবারে উত্তরের দিকের কিছু অংশের সঙ্গে যাতায়াত শুরু করা যায়নি। বাকি সব জায়গা পর্যটকদের সঙ্গে খুলে গিয়েছে। সিকিম পর্যটন দফতরের থেকে জানানো হয়েছে, গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, পাকিয়ং এবং গ্যালসিং জেলার সব প্রান্ত পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিস্তার হড়পা বানে যে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছিল সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা, সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ফের পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিকিম।
সিকিমের অর্থনীতির একটি বড় অংশ নির্ভর করে থাকে পর্যটনের উপর। সারা বছর এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু পুজোর মরশুমে জোর ধাক্কা খেয়েছে সিকিমের পর্যটন। তিস্তার হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম এবার অনেকটাই ছন্দে ফিরেছে। হড়পা বানের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিকিম ছন্দে ফেরার চেষ্টা শুরু করেছিল।
তার ফলে পুজোর আগেই নাথু লা, ছাঙ্গু লেকের মতো জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলি খুলে দিতে পেরেছিল সিকিম সরকার। মাঝ অক্টোবর থেকেই নাথু লা ও ছাঙ্গু যাওয়ার পারমিট আবার দিতে শুরু করেছিল সিকিম পর্যটন দফতর। আর এবার বাকি সিকিমেরও প্রায় গোটাটাই (শুধু একেবারের উত্তরের কিছু অংশ বাদে) খুলে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য।
উল্লেখ্য, সিকিমের সঙ্গে তিনটি দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে বড় অংশের সীমান্ত রয়েছে চিনের সঙ্গে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দ্রুত সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে জোরকদমে কাজ চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। সম্প্রতি চুংথাংয়ের কাছে তিস্তা নদীর উপর প্রায় ২০০ ফুট লম্বা একটি বেইলি ব্রিজ নতুন করে বানিয়ে ফেলেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post