★ সাধারণত বিমান এয়ারলাইন্সগুলি যাত্রীকে সাত কেজির অধিক ওজনের মালামাল সাথে নিয়ে উড়োজাহাজে প্রবেশ করতে দেয় না। অনেক এয়ারলাইন্সের প্রবেশপথে যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ ওজন করার জন্য স্কেল রাখা হয়।
★ সাধারণত হ্যান্ড লাগেজ হিসাবে এক পিস এর বেশি লাগেজ নিতে দেওয়া হয় না৷ তবে কোলের শিশুর খাবার ও ডায়াপার, অসুস্থ বিমান যাত্রীর খাবার বা ওষুধ, নারী যাত্রীদের ব্যবহার্য পার্স, গরম কাপড় নিতে দেওয়া হতে পারে।
★ হ্যান্ড লাগেজের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার সমষ্টি ৪৫ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না৷ অভিজ্ঞ এয়ারলাইন্স কর্মীরা যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ দেখে চোখের আন্দাজেই বুঝে নিবেন যে সেটার সাইজ অনুমোদিত সীমার চেয়ে বড়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে উড়োজাহাজের প্রবেশপথে হ্যান্ড লাগেজের সাইজ মাপার জন্য স্কেল থাকতে পারে।
★ উড়োজাহাজের ভিতরে যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ রাখার স্থান সীমিত। উপরে ওভারহেড বিন ছাড়াও যাত্রীর সামনের সিটের নীচে হ্যান্ড লাগেজ রাখা যায়। এর বাইরে কোন অবস্থাতেই হ্যান্ড লাগেজ রাখা যাবে না।
★ যাত্রীর বহন করে আনা হ্যান্ড লাগেজ সাইজে বড় হলে অথবা সংখ্যায় এক পিস এর বেশি হলে অথবা ওজনে ৭ কেজির বেশি হলে এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তা বুকিংয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য করতে পারে।
★ হ্যান্ড লাগেজ বুকিংয়ে দিয়ে দিতে বলা হলে যাত্রী অবশ্যই লাগেজের ভিতরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন/ট্যাব (যার ভিতরে ব্যাটারি আছে) নিজের সাথে নিয়ে নিবেন। কখনও কখনও এয়ারলাইন্স হ্যান্ড লাগেজ বুঝে নিয়ে যে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়, সেখানেই এরকম নির্দেশনা থাকে। আমরা এখানে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এরকম একটি ট্যাগের নমুনা সংযুক্ত করলাম।
★ মনে রাখতে হবে যে উড়োজাহাজে প্রবেশের জন্য নির্ধারিত সময় খুব কম থাকে৷ হ্যান্ড লাগেজ বুকিংয়ে দিয়ে দিতে বললে এয়ারলাইন্স কর্মীর সাথে তর্ক করা অথবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না৷ বরং লাগেজ থেকে দামি জিনিসগুলি নিজের পকেটে নিয়ে লাগেজ দ্রুত বুকিংয়ে দিয়ে দিতে হবে৷
★ যাত্রীর হ্যান্ড লাগেজ যথাসম্ভব ছোট হওয়া ভাল৷ হ্যান্ড লাগেজ হিসাবে এক পিস ছোট আকারের ব্যাকপ্যাক নিলে তা ওভারহেড বিন অথবা সামনের সিটের নীচে রাখা যাবে৷ হ্যান্ড লাগেজের আকার যত বড় হবে, সেটা বুকিংয়ে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার আশঙ্কা তত বাড়বে।
★ দুনিয়ার উন্নত দেশগুলির বিমানবন্দরেও ফেরেশতারা চাকরি করে না৷ আপনার লাগেজে টাকা, স্বর্ণের বার আর দামি মোবাইল রেখেই তা তাদের হাতে দিবেন, অথচ তারা তা কখনোই পকেটে ভরবে না, এমন আশা করবেন না৷ বিদেশের ঝকঝকে বিমানবন্দরে কাজ করে যারা তাদের মধ্যে কোন চোর নাই অথবা তাদের চুরি করার কোন সুযোগ নাই, এরকম বিশ্বাস থাকলে এই পেইজ ত্যাগ করুন ৷
★ আমরা এখানে যে পরামর্শগুলি দিয়েছি সেগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ে অনুসরণ করুন। ইনশাল্লাহ আপনারা হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে কোন ঝামেলায় পড়বেন না৷
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post