জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনা মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘নারী অভিবাসী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নারী অভিবাসীদের সুরক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। বাস্তবে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে না। এতে নারী অভিবাসীরা নানাভাবে শোষিত ও নির্যাতিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, নারী অভিবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাই তাদের সঠিক মর্যাদা দেওয়া ও দক্ষ করে বিদেশে পাঠানোর দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া উচিত।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। তারাও নারী অভিবাসীদের সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ জোরদার করার আহ্বান জানান।
বিদেশ থেকে প্রত্যেক বছরে দশ লাখ অভিবাসী নারী শ্রমিক রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। অথচ তাদের রেমিট্যান্স দেশে হিসাব করা হয় না। রেমিট্যান্সে নারীদের অবদান কত শতাংশ, সেটির তথ্য-উপাত্ত আলাদাভাবে তুলে ধরার আহ্বানও জানিয়েছেন নূরুন নাহার হেনা।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আরও বলেন, অভিবাসী নারীরা তাদের বৈদেশিক আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিয়মিত রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সপ্তাহে অন্তত একদিন অভিবাসী নারী শ্রমিকদের খোঁজখবর নিতে হবে। বিদেশে আমাদের প্রবাসী নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন তাদের সে চিত্র উঠে আসে না। তাই এ অভিবাসী নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম।
প্রধান আলোচক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত ও কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশী দূতাবাস, রিক্রুটিং এজেন্সিকে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে অধিকতর মানবিক হতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব-এর যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, অভিবাসী নারীদের সুরক্ষিত করতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সকল পক্ষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমকর্মীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো. নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ, কে, এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ সেমিনারে আলোচনা বক্তব্য দেন। সেমিনারটির পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো. আবুজার গাফফারী এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্না দায়িত্ব পালন করেন।
সেমিনারে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটটের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ মোট ৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post