দীর্ঘ দিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও সৌদির পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনকে ভালোভাবে নিচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৮ মার্চ) সউদী আরব সফরের প্রাক্কালে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স অ্যাজেন্সির (সিআইএ) প্রধান বিল বার্ন এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সূত্রে তুরস্কের সরকারি বার্তাসংস্থা আনাদুলু অ্যাজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, পূর্বঘোষণা ছাড়াই সউদী আরব সফরে যান সিআইএ প্রধান বিল বার্ন।
এ সময় তিনি সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে মোহাম্মাদ বিন সালমানকে বার্ন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক শত্রুপক্ষ ইরান ও সিরিয়ার সাথে রিয়াদের এভাবে সম্পর্ক স্থাপনকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তার সূত্রে বলা হয়, সৌদির কর্মকর্তার সাথে গোয়েন্দা তথ্য ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে বার্নের।
যুদ্ধ বন্ধের শামিয়ানা হাতে প্রথমেই শামুকের মতো ধীরে ধীরে পা খুলেছে তুরস্ক। তবে সবচেয়ে বড় চমক দেখাল চীন। প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু। যুদ্ধের ডামাডোলে শান্তির ডানা মেলে উড়ে গিয়ে জুড়ে বসল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ারে। শত্রুর ছাউনি থেকে মিত্রের তাঁবুতে বসাল মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি ইরান-সৌদি আরবকে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় চীনও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ১২ দফা ওই শান্তিপ্রস্তাব শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিই নয় বরং মার্কিন মদদপুষ্ট পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে দূতালির বেশে চীনের শক্ত অবস্থানের জানানও বটে।
সৌদি আরব ও ইরানে সম্পর্ক উন্নয়নে বেইজিংয়ে চীনের মধ্যস্থতায় বৈঠকের পর শুক্রবার সৌদির রাজনৈতিক বিশ্লেষক সালমান আল-আনসারি আরব নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে চীনের নতুন ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। শুধু সৌদি ইরান নয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতেও ভূমিকা রাখতে আগ্রহী চীন।
সউদী আরব ও ইরানের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় ২০১৬ সালে। তখন সউদী আরব এক সউদী শিয়া ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। এরপর তেহরানে অবস্থিত সউদী দূতাবাসে তেহরানের উত্তেজিত জনতা হামলা করেছিল। এতে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পতন ঘটে। পরে ২০২১ সালের এপ্রিলে তাদের মাঝে সমঝোতার আলোচনা শুরু হয়। চীনের মধ্যস্থতায় ওই আলোচনা অগ্রগতি লাভ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে উভয় দেশ পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post