প্রতি বছরই ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স বেড়ে যায়। প্রয়োজনীয় কেনাকাটার সঙ্গে দান-সদকা, জাকাত বিতরণসহ পরিবার-পরিজনের বাড়তি ব্যয়ের জন্য অধিক হারে টাকা পাঠান রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। এরই ধারাবাহিকতায় সদ্যসমাপ্ত মার্চে প্রবাসীরা ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসেবে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রায় ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রোববার (২ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পুরো মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের এই পরিমাণ আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এদিকে সম্প্রতি এক জরিপের বরাত দিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ৫২ শতাংশ আসে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে। আর বাকি ৪৮ শতাংশই আসে হুন্ডির মাধ্যমে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আনতে শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দিচ্ছে সরকার। আর তাই সবাইকে বৈধ ভাবে মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post