কুমিল্লার হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক সৌদি প্রবাসী। ২৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসী ও তার পরিবারের তিনজনকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন ও মুচলেকা রাখার অভিযোগ এনে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নম্বর আমলি আদালতে সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সৌদি আরব প্রবাসী অপু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- হোমনা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম, এএসআই মো. মাসুদ রানা ও থানার ‘দালাল’ আনোয়ার নামে এক ব্যক্তি।
ওই প্রবাসী অভিযোগে উল্লেখ করেন, মামলার বাদী নিজ নামে সৌদি থেকে ক্রয়কৃত কয়েক ভরি স্বর্ণ ট্যাক্স ও শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ব্যবহারের জন্য দেশে নিয়ে আসেন। প্রবাসী অপু দেশে আসার পর থেকেই থানার কথিত দালাল আনোয়ারের মাধ্যমে থানা পুলিশ ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ১৯ মার্চ থানার এএসআই মাসুদ রানা দালাল আনোয়ারের সহযোগিতায় প্রবাসী ও তার বড় ভাই ব্যবসায়ী ইউনুসকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানাহাজতে আটকে রাখে ও দফায় দফায় নির্যাতন করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে মুচলেকাও রাখা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
বাদীর ভাই ইউসুফের পাসপোর্ট ভিসা ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মোটরসাইকেল আটকে রাখেন। তার বোনজামাই রুবেলকে আটক করেন। ২ লাখ টাকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। সোমবার রাতে এসব বিষয়ে হোমনা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। অপু অন্য প্রবাসীর স্বর্ণ আত্মসাৎ করেছে বলে একটি অভিযোগ পাই। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনি। সেই আক্রোশে এই মামলা দিয়ে থাকতে পারে। আমি নিয়মের বাইরে কোনো কাজ করিনি। চাঁদা দাবির অভিযোগ কাল্পনিক ও বানোয়াট।
হোমনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মহসিন বলেন, এক প্রবাসী কিছু স্বর্ণ পাঠিয়েছিল বাড়িতে। অপু নামের একজন সেই স্বর্ণ ঠিকানা মোতাবেক দেননি। পরে ওই প্রবাসীর অভিযোগে অপুর ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সম্ভবত তাই অপু ক্ষিপ্ত হয়ে হোমনা থানার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বিষয়টি আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post