কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় আটক ২ দালালকে ১০ দিন করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের গোল চত্বর এলাকায় অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো: রিয়াজ উদ্দিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুস সবুর (৩৩) এবং পেকুয়া উপজেলার শিলখালী এলাকার মরহুম সাব্বির আহমেদের ছেলে মনিরুদ্দিন আহমেদ (৬০)। এছাড়া তাদের সাজা দেয়ার সময় ওই অফিসের সন্দেহজনক তিন কর্মচারী পালিয়ে যায়। তবে তদন্তে গোপনীয়তার স্বার্থে পাসপোর্ট কার্যালয়ের পলাতক তিন আসামির নাম প্রকাশ করতে অসম্মতি জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
মো: রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে সক্রিয় সংঘবদ্ধ একটি চক্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানির মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ব্যাপারে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে দুদকের একটি টিম অভিযান চালায়।
তিনি আরো জানান, তারা সেবা গ্রহীতাদের নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে পাসপোর্ট অফিসের কতিপয় কর্মচারীদের যোগসাজশে হয়রানির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে জড়িত। আদায় করা অর্থের একটি অংশ তারা পেত।
অভিযানকালে আটক দালালদের কাছ থেকে সেবা গ্রহীতা বিভিন্ন লোকজনের কিছু কাগজ ও নথিপত্রসহ নানা আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের এ সহকারী পরিচালক।
রিয়াজ উদ্দিন জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান এবং সেবা গ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা মঞ্জুর মৌনার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে ১০ দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post